ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

তুচ্ছ ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মারামারি, আহত ৩

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২০ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
তুচ্ছ ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মারামারি, আহত ৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ধুমপান করতে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বহিরাগত কয়েকজন যুবকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ মোট তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৪ মে) রাত আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন খাবার হোটেলে এ ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। পরে বহিরাগত এক যুবককে তুলে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হলের সামনে বেধড়ক মারধর করা হয়।

আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আসিফ উর রহমান ও মৃন্ময় দাস এবং বহিরাগত ফোরকান হোসেন জয়। এর মধ্যে, আসিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ও মৃন্ময় মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র। এছাড়া বহিরাগত ফুরকান হোসেন জয় সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর ছেলে।

প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মৃন্ময় ও আসিফ বান্ধবীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি দোকানে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। একই দোকানে বন্ধুদের সাথে বসে ধূমপান করছিলেন ফোরকান হোসেন জয়। এ সময় জয় ও তার বন্ধুদের ধূমপান করতে নিষেধ করেন মৃন্ময় ও আসিফ।  

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ফোরকান হোসেন জয় তার বড়ভাই ভাইসহ (বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী) স্থানীয় কয়েকজন যুবককে ডেকে এনে আসিফ ও মৃন্ময়কে মারধর করেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল থেকে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় অন্যরা পালালেও জয় সেখানে থেকে যান। তারা জয়কে মারধর করে হলে নিয়ে আসেন। পরে জয়ের অভিভাবক এলে দু’পক্ষের মধ্যে মিমাংসা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতা আসিফ রহমান খান নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে এসে জয়কে বেধড়ক মারধর করে।  

মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আমি এসে দেখি হলের সামনে এমন ঘটনা। তবে আমি হলের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেইনি৷ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্রিয়ারিয়াল বডি এসে বিষয়টি সমাধান করেছে।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ঘটনাস্থলে এসে পুরো বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।