ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পরীক্ষা শেষ না হতেই বাণিজ্যে নেমেছে কোচিং সেন্টারগুলো

মহিউদ্দিন মাহমুদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১২
পরীক্ষা শেষ না হতেই বাণিজ্যে নেমেছে কোচিং সেন্টারগুলো

ঢাকা: এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট) পরীক্ষা শেষ না হতেই বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বাণিজ্যে নেমেছে কোচিং সেন্টারগুলো। এ বিষয়ে কোনো নিয়মনীতি না থাকায় এ সুযোগে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণীর ফড়িয়ারা।

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি কোচিং এর নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এরা।

পরীক্ষার শেষ না করেই কোচিং এ ভর্তি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে হয়রান হতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। তাই পরীক্ষার ক্ষতি করে ভর্তির জন্য আলাদা সময় দিতে হচ্ছে তাদের। কোচিং সেন্টারগুলোর এরকম হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।

শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করা এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস সূত্রে জানা গেছে এদের অনেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে অনেক আগেই।

কোচিং সেন্টারগুলোতে আসন সংকট, আগে আসলে ডিসকাউন্টসহ (ছাড়) বিভিন্ন ধরণের চটকদার বিজ্ঞাপণের কারণে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ভর্তি হতে প্ররোচিত করছে। কোচিং সেন্টারগুলো এ ধরনের হটকারীতার আশ্রয় নিচ্ছে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ভাগিয়ে নিয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করতে।     

এরই মধ্যে গোটা শহরে কোচিং বিষয়ক বিজ্ঞাপণ সম্বলিত ব্যানার-বিলবোর্ডে চেয়ে গেছে। ফার্মগেটসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশের এলাকায় এর ছড়াছড়ি বেশি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা এসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এজেন্টরা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে লিফলেট আর বিজ্ঞাপণ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপর হামলে পড়ছে। এতে বিব্রত হচ্ছেন অনেকে। কোচিং সেন্টারে ভর্তি নিয়ে বাড়তি চিন্তা ঢুকে যাচ্ছে তাদের মাথায়।

মেডিক্যাল কোচিং এ ভর্তি হতে ফার্মগেটে আসা দীপা রাণী পাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘পরে আসলে সিট যদি না পাই সেজন্য আগে আগে ভর্তি হয়েছি। যানজটের কারণে আসতে সময় অপচয়ের সঙ্গে সঙ্গে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু কি করবো। বলা হচ্ছে নাকি সিট শেষ হয়ে যাবে। ’

এত আগে থেকে ভর্তি শুরু করা বিষয়ে মেডিক্যাল কোচিং এ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী শিকারী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রেটিনা কোচিং সেন্টারের একাডেমিক ইনচার্জ মো: জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘পরীক্ষার শেষ হয়ে যাওয়ার পর ছাত্রছাত্রীদের হাতে সময় কম থাকে। একাডেমিক পরীক্ষা শেষে কোচিং সেন্টারে ভর্তির জন্য চিন্তা-ভাবনা করতে হলে ভর্তি পরীক্ষার পড়াশোনার ক্ষতি হয়। তাই আমরা আগে থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছি। ’

এখন কোচিং বাণিজ্য নিযে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অসংখ্য কোচিং সেন্টার। মেডিক্যাল কলেজ ও বুয়েটে ভর্তির কোচিং সেন্টারগুলোর মধ্যে রয়েছে সানরাইজ, ওমেগা, শুভেচ্ছা, রেটিনা, ম্যাক, থ্রি ডক্টরস ইত্যাদি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ইউনিভার্সিটি কোচিং সেন্টার (ইউসিসি), ফোকাস, ইউনিএইড (কিরণ-কবির-সুমন), ইউনিএইড (মনির-মল্লিক-জহির), লিডস ভার্সিটি কোচিং সেন্টার, পজিট্রন বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং সেন্টার, ঢাকা কোচিং, ক্যাম্পাস, অ্যাডমিশন এইড, প্যারাগন, অ্যাডমিশন প্লাসসহ আরো অসংখ্য কোচিং সেন্টার।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১২
এমইউএম/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।