ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু ছাত্রলীগের মতই চলবে, যা বলি তাই করতে হবে’ 

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু ছাত্রলীগের মতই চলবে, যা বলি তাই করতে হবে’  ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল হককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।  

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার একটি উপ-কমিটিতে সম্পাদকের বাবার নাম না রাখার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এসময় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু ছাত্রলীগের মতই চলবে। আমরা যা বলি তা করতে হবে।  

রোববার (১৪ মে) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন সংলগ্ন এলাকায় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির সভাপতির সঙে বাগকিতণ্ডার সময় এ কথা বলেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল হক। এসময় সেখানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও ছিলেন। তার পাশেই বাবা তোবারক হোসেন বাদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ছিলেন।

এসময় জয় এমদাদের কাছে তার বাবাকে পরীক্ষা কমিটিতে না রাখার কারণ জানতে চান। এসময় এমদাদু বলেন, এটা প্রশাসনের কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাদের প্রয়োজন মনে করেছে তাদের সিলেক্ট করেছে। এতে আমার কোনো হাত ছিল না। তবে জবারে সন্তুষ্ট না হয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান ছাত্রলীগ সম্পাদক। এক পর্যায়ে জয়ের অনুসারীরা তাকে মারতে উদ্যত হন। ছাত্রলীগ কর্মী শাহিন, হাফিজ, বাঁধনসহ ১০/১৫ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এসময় গাড়িতে থাকা অন্য কর্মকর্তারাও এক পর্যায়ে নেমে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু ছাত্রলীগের মতই চলবে। আমরা যা বলি তা করতে হবে।  

জবাবে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি বলেন, এতো সস্তা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রশাসনের একটা অংশ তারা তাদের রুলস রেগুলেশন অনুযায়ী চলবে। তোমরা ছাত্রলীগ কর, তোমরা তোমাদের মতই চল।

ঘটনার বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল হক বলেন, আমি তাদের আচরণে মানসিকভাবে আহত ও মনক্ষুণ্ন হয়েছি। তাদের এই অযাচিত আচরণ কোনোভাবেই সমর্থিত নয়। তাদের এহেন আচরণ চলতে থাকলে ছাত্রলীগেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।

কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট বলেন, বিষয়টি আমাদের খুব মর্মাহত করেছে। সমিতির সভাপতিকে আমরা সবাই খুব শ্রদ্ধা করি। তাকে দেখলে যেকোনো কর্মকর্তা দাঁড়িয়ে যায়। তার সঙ্গে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আগামীকাল (সোমবার) আমরা আমাদের সভাপতির সঙ্গে বসব। তিনি যা বলবেন আমরা পরবর্তীতে তাই করব।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক  নাসিম আহমেদ জয় সাংবাদিকদের বলেন, তিনি (এমদাদ) আমার কাকু। আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার-স্যাপার থাকে। কাকুর সঙ্গে একটা ইস্যু নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে তিনি গাড়িতে চলে গেলেন আর আমরা ঘুরতে চলে গেলাম। সকালে দেখবেন তার রুমে বসে একসঙ্গে চা খাচ্ছি। সাংবাদিকদের কাছে বলার মতো এমন কিছুই ঘটেনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।