জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, (জাবি): প্রতিষ্ঠানের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার তার বরাদ্দকৃত আবাসিক ভবনে থাকেন না। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায়, এয়ারমার্ক বা সুনির্দিষ্ট আবাসিক বাসা থাকা স্বত্বেও অনিয়মিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল হতে ভাড়া বাবদ বেতন-বিলের টাকা গ্রহণ করায় ৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অডিট আপত্তি দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধ্যাপক রাশেদা আখতার ধানমন্ডি-৪ নম্বরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। যাতায়াতের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তারপরও অধ্যাপক রাশেদা আখতারের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক চরিত্র ধরে রাখা বর্তমান সময়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অধ্যাপক বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই আবাসিক ভবনে থাকেন না। যারা হর্তাকর্তা রয়েছেন তারাই যদি বরাদ্দকৃত ভবনে না থাকেন তাহলে অন্যান্য লোকজন থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ তার আবাসিক বাসভবনে থাকেন না, তিনি ঢাকা থেকে আসা-যাওয়া করেন। এভাবে হর্তাকর্তারা যদি তাদের নিয়ম বজায় না রাখেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় তার আবাসিক চরিত্র হারাবে এটাই স্বাভাবিক।
এ ব্যাপারে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, আমি কোষাধ্যক্ষকে বেশ কয়েক মাস আগে বলেছিলাম তার বরাদ্দকৃত বাসায় উঠতে, তিনি এখনও ওঠেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত হিসাবাধাক্ষ্য মো. মোসানুল কবীর বলেন, আমি যতটুকু জানি ট্রেজারার মহোদয়ের হাজবেন্ড অসুস্থ। তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে তিনি বাসায় থাকতে পারছেন না। ওনার হাজবেন্ড সুস্থ হলে দ্রুতই তার বরাদ্দকৃত আবাসিক ভবনে আসবেন।
এ ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
এমজে