খুলনা: মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আগামী ১১ জুলাই থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাশের আগেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতা পাঠ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন।
তিনি বলেন, দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। পরিতাপের বিষয় আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এক হাজার হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা এবং ৫শ টাকা চিকিৎসাভাতা পাই। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।
এছাড়াও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের এক ধাপ নিচে দেওয়া হয়। তাছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
সম্মেলনে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। কয়েক বছর ধরে কোনো ধরনের সুবিধা না দিয়েই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে যা অত্যন্ত অমানবিক। তাই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছিলাম।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির খুলনা অঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিয়া তৌহিদুল ইসলাম, মহানগর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক কুমুদ রঞ্জন ফৌজদার, শফিউল আলম, বাবুল খান, দেবাশীষ হালদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এমআরএম/এএটি