ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রথম বর্ষের ছাত্রকে মারধর ও যৌন হয়রানির অভিযোগ 

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
প্রথম বর্ষের ছাত্রকে মারধর ও যৌন হয়রানির অভিযোগ 

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নম্বর কক্ষ) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে মারধর ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।  

মঙ্গলবার (২০ জুন) প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষে (গণরুম) থাকেন। তাকে গত সোমবার (১৯ জুন) রাত ২টায় ১৩৬ নম্বর কক্ষে (গণরুম) ডাকা হয়।  

পরে সেখানে চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফিফ হাসান, তন্ময় বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাকে মারধরও করা হয়। এসময় তাকে যৌন হয়রানিও করেন তারা।

পরে ওই শিক্ষার্থী জিয়া মোড়ে আসেন। এরপর তিনি হলে ডোকার সময় তাকে আফিফ ও তন্ময় আবার তাকে মারধর করেন এবং মারতে মারতে জিয়া মোড়ে নিয়ে যান। এসময় তার জামা ছিঁড়ে যায় ও চশমা ভেঙে যায়। পরে তার বিচার করার জন্য ছাত্রলীগের রুমে নিয়ে গেলে সেখানেও মারধরের শিকার হন তিনি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।  

জানা যায়, পরে এ ঘটনার সমাধান করে দেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।  

অভিযুক্ত আফিফ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছুটা মনোমালিন্য হয়েছিল। পরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ভাই বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছেন। অপর অভিযুক্ত তন্ময় বিশ্বাসও একই বক্তব্য দেন।  

মঙ্গলবার ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, অফিস সময়ের শেষ দিকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আজ বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারিনি। অভিযোগে যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি কোনোভাবেই শোভনীয় নয়। আবেদনটি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের আগামীকাল ডেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।  

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমার অফিসের কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন, শেষ সময়ে একটি অভিযোগ এসেছে। আমি এখনো দেখিনি সে কী লিখেছে। কাল (বুধবার) অফিসে গিয়ে বিষয়টি দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।  

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, গণরুমের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। তারা আমার কাছে এলে আমি মীমাংসা করে দিয়েছি। দফায় দফায় মারধরের বিষয়টি আমি জানি না। তবে আমি যতটুকু শুনেছি, ওই ছেলে বিকেলে অভিযোগ উইথড্র করে নিয়েছে।

অভিযোগ তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী ছাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে রাত পৌনে আটটায় ছাত্র-উপদেষ্টা নিশ্চিত করেন, তার কাছে কেউ অভিযোগ তুলে নেওয়ার কথা বলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।