ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

পরীক্ষা দিতে এসে হামলার শিকার ছাত্রদল নেতা, পুলিশে দিলো প্রক্টর

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
পরীক্ষা দিতে এসে হামলার শিকার ছাত্রদল নেতা, পুলিশে দিলো প্রক্টর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হেনা মুরসালিন। মুরসালিন সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যেক্ষ্যদর্শীরা জানায়, পরীক্ষা শেষ করে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় একাধিক ছাত্রলীগের কর্মী বাঁশের লাঠি দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম হাসান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইনের অনুসারী।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, মারধর খবর পেয়ে আমি সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। সেখান থেকে ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা সেটা পুলিশ যাচাই করে তাকে ছেড়ে দেওয়ায় সুপারিশ করেছি।

রাজনৈতিক কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে এভাবে মারধর করতে পারে কিনা তা জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ক্যাম্পাস কেউ কাউকে এভাবে মারধর করতে পারে না। ওই শিক্ষার্থী যদি কোনো অভিযোগ করেন তাহলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান মাতবর বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমার কাছে আহত শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমি তাকে আমার হেফাজতে রেখেছি। কি করতে হবে প্রক্টর পরে সিদ্ধান্ত দেবেন।

জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো মারধর বা হামলার ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোনো দ্বন্দ্বের দায় ছাত্রলীগ নেবে না।

হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, পরীক্ষা দিতে এসে আমাদের কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কতিপয় ছাত্রলীগকর্মী দ্বারা আহত হলো। এর আগেও কয়েকজনকে পরীক্ষার হলে গিয়ে মেরে আহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল হামলাকারীদের ধরে পুলিশে দেওয়া। তারা তো তা করেননি, উল্টো হামলায় আহত শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে তারা বে-আইনি আচরণ করেছেন। আমরা হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানা বলেন, মুরসালিন তার মিডটার্ম পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পরেই হামলার শিকার হন। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।