ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইউনূসের বিচার স্থগিতের চিঠির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
ইউনূসের বিচার স্থগিতের চিঠির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬০ জনের খোলা চিঠির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

 

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বক্তব্য রাখেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমার ধারণা, ড. ইউনূস ইস্যুতে বিচার প্রক্রিয়াধীন একটি বিষয় নিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন ১৬০ জন নীতিজ্ঞান বিবর্জিত কিছু মানুষ। তারা লবিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। তাদের হয়তোবা কোনো গোষ্ঠী, কোনো সম্প্রদায়, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি হায়ার করেছেন কিছু অর্থের বিনিময়ে। সে কারণেই তারা দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।  

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৬৮টি মামলা রয়েছে। এ মামলাগুলো কে করেছে? ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন, এ মামলাগুলো তারাই করেছেন। সরকার তো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। তাহলে, কি কারণে ১৬০ জন বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তি না জেনে, না বুঝে এভাবে বিবৃতি দিলেন? সেটিই আমাদের প্রশ্ন। এ সময় তিনি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ড. ইউনূস ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, যখন ড. ইউনূস নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন তখন তিনি বলেছিলেন, এ পুরস্কারের অর্থ বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হবে। এখন আমার প্রশ্ন হলো এ অর্থ কোথায় শিক্ষার জন্য ব্যয় করেছেন? আমরা মনে করি, ড. ইউনূস তার অনেক কিছু গোপন করতে চাচ্ছেন। গোপন করতে চাচ্ছেন বলেই তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে বিচারব্যবস্থার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। তা না হলে তিনি এভাবে বিবৃতি দেওয়াতেন না।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজউদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান, নীল দলের আহ্বায়ক ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেষ চন্দ্র বাছার, কলা অনুষদের ডিন ড. আব্দুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও বর্তমান ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩
এসকেবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।