ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ওপর কর প্রত্যাহারের দাবি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১২
‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ওপর কর প্রত্যাহারের দাবি’

ঢাকা: বাজেটে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ ১১.৫ ভাগ থেকে ২০ ভাগে উন্নীত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের ভর্তির ওপর ১৫ ভাগ কর প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে।  

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং সংশ্লিষ্টগণ এ দাবি জানান।



শ্ক্ষিামান উন্নয়নের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়েছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সভাপতি সিএম শফি সামি বলেন, সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভর্তির ওপর ১৫ ভাগ কর আরোপ করেছে। অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করছে না।

এছাড়াও যেসকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ক্যাম্পাস রয়েছে তাদের ওপরও ৯ ভাগ করও প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। সরকার যদি এসব বৈষম্য মূলক আইন সংশোধন না করে তাহলে এটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর এটি সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। ৯০ দশকে ভারতে বাংলাদেশের প্রায় ৫ লাখ ছাত্র পড়াশোনা করার জন্য যেতো। এখন তা অনেক কমে এসেছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে যে ছাত্ররা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে সরকারিভাবে এটা করাতে গেলে ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হতো।

তাই সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উপর ভর্তুর্কি না দিলেও কমপক্ষে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে যে ১৫ ভাগ কর আরোপ প্রত্যাহার করা উচিত।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ না বাড়ালে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ উন্নীত করার যে ভিশন ঘোষণা করা হয়েছে তা করা সম্ভব না।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী পুলিশ বিভাগকে সবচেয়ে দুনীতিগ্রস্ত বললে আমি বলবো শিক্ষা বিভাগের সবচেয়ে বেশি দুনীতি হয়। অথচ অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় দুর্নীতি দমন করার কোনো দিক-নিদের্শনা নেই।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, সরকার তার কমিটমেন্টের জায়গায় ঠিক থাকলে বাজেটে ৭.২ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।

গণবিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যারা বাজেট পেশ করেন তারা যদি সৎ না হয় তাহলে বাজেটের মহৎ কিছু আশা করা ভুল।

সংসদে অধ্যাপক আবু সায়ীদের মতো ব্যক্তির বাবা মা তুলে গালাগালি করতে পারে তাদের দিয়ে আর যা হোক দেশের জন্য পজিটিভ কিছু আশা করা যায়না। মানসম্মত শিক্ষক তৈরি করতে না পারলে শিক্ষা ক্ষেত্রে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব না। এজন্য বাজেটে শিক্ষা ক্ষেত্রের বরাদ্দ ২০ ভাগ করতে হবে।

গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবঞ্চ উপস্থাপন করেন ঢাকা ব্শ্বিবিদ্যালয়ের আইবিএ শিক্ষক ড. একেএম সাইফুল মজিদ। আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর আনোয়ারুল ইসলাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভাসির্টির অধ্যাপক বজরুল রহমান, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির কাজী রফিকুল আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১২
এনএম/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।