ঢাকা: রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ছাত্র সোহাগ মিয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এ কলেজের শাখা ছাত্রদলের কর্মীও তিনি।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে এসব কথা জানান সোহাগ মিয়া। বলেন, গতকাল দুপুরে আমি ইংরেজি বিষয়ের টেস্ট পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার কর্মীরা হলে এসে আমি ছাত্রদল করি কিনা জানতে চায়। আমি বলি আমি ছাত্রদল করি। বাবা বিএনপি করে আর চাচা আওয়ামী লীগ করে। যা যা জিজ্ঞেস করছে আমি সত্য কথা বলছি। পরে তারা চলে যায়। এরপর আমি পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর আমাকে ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী, আশিক ও নাম না জানা বেশ কয়েকজন মারধর করে। এরপর আমাকে ধরে ছাত্র সংসদের নিয়ে যায়। সেখান থেকে বের হওয়ার পর কলেজের বিওসি ভবনের সামনে আমাকে আবার বেধড়ক মারধর করে।
মারধরের শিকার ছাত্রদলের এ কর্মী বর্তমানে ইসলামি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন হল থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে একজন শিক্ষার্থীর ওপর এই ধরণের ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। নিরপরাধ একজন শিক্ষার্থীকে এভাবে মারা যায়? আমরা কার কাছে বিচার চাইবো? আমরা একটি সন্ত্রাস মুক্ত ক্যাম্পাস চাই। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্লাস ও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ছাত্রলীগ সবসময় সচেষ্ট। ক্লাস পরীক্ষা থাকলে যেকোনো দলমতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তবে যদি কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে চায় সেক্ষেত্রে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ তা প্রতিহত করবে। ঘটনাটি কি ঘটেছে তা শুনে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু জাফরকে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম বলেছেন, এ ধরণের ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানেন না। কেউ যদি অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
এমজে