ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

চাকরি পেতে হলে গ্রাজুয়েটদের সফট স্কিলে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
চাকরি পেতে হলে গ্রাজুয়েটদের সফট স্কিলে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: উচ্চশিক্ষায় ভালো ফলাফল করেও শুধুমাত্র সফট স্কিলের ঘাটতির কারণে গ্র্যাজুয়েটরা চাকরি পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি) উত্তরা ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. বদরুল ইমাম ও উপাচার্য ড. ইয়াসমীন আরা লেখা।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা একটি কথা বার বার শুনতে পাই। চাকরি প্রত্যাশি আর চাকরিদাতাদের মধ্যে বিস্তর ফারাক। চাকরি প্রার্থীরা বলেন তারা চাকরি পাচ্ছে না, আবার চাকরি দাদারা বলেন তারা যোগ্য লোক পাচ্ছে না। আমাদের একজন ভালো গ্র্যাজুয়েট চাকরি পাচ্ছেন না, অথচ পাশের দেশের একজন শিক্ষার্থী একটি সার্টিফিকেট কোর্স করে চাকরি পাচ্ছেন। কেনও পাচ্ছেন কোথায় আমাদের ঘাটতি? ঘাটতি সফট স্কিলসে, ক্রিটিক্যাল থিকিং স্কিল, কোলাবরেশন স্কিল এগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখানো হয় না। এসব দক্ষতা শিক্ষার্থীদের অর্জন করতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলেছি যে যে বিষয় পড়ুক, তার ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে, আইসিটির দক্ষতা থাকতে হবে, এন্ট্রোপ্রেনারশিপ জানতে হবে। সবাই চাকরি করবে তাও নয়, আবার সবাই উদ্যোক্তা হবেন তাও নয়। কিন্তু দক্ষতা থাকতে হবে। শিখতে শেখাটাই এখন শিক্ষার বড় বিষয়।

তিনি বলেন, সরকার শুধু জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পরিবর্তে দক্ষতাভিত্তিক ও  প্রায়োগিক শিক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করছে। আর সেই লক্ষ্যে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এ বছর প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি, মাধ্যমিকে ষষ্ট ও সপ্তম শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী বছর প্রাথমিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে অষ্টম ও নবম শ্রেণি আর তার পরের বছর ২০২৫ সালে প্রাথমিকে চতুর্থ ও পঞ্চম আর মাধ্যমিকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২৫ সালে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আর ২০২৭ সাল নাগাদ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে। এ নতুন শিক্ষাক্রমে মুখস্ত নির্ভর নয় অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখবে। শেখাটা চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। শিক্ষককের ভূমিকাতেও আসছে পরিবর্তন। শিখন হবে সক্রিয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।