দিনাজপুর: র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এক সেমিস্টার করে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে আবাসিক হল থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া একই অভিযোগে হাবিপ্রবির ২১ শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
হাবিপ্রবির পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ
বহিষ্কৃতরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল হুদা তাজমুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। বাকি সতর্ক করা শিক্ষার্থীরা হলেন- কৃষি অনুষদের একই ব্যাচের ২ শিক্ষার্থী এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২২ ব্যাচের ১৯ শিক্ষার্থী।
একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন অনুপম ছাত্রাবাসে র্যাগিং হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল টিম। ঘটনাস্থলে কৃষি অনুষদের ২৩ ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাগিংয়ের তথ্য-প্রমাণ পায় তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি র্যাগিং প্রতিরোধমূলক কমিটির সভায় উত্থাপিত হলে ২২ ব্যাচের ওই দুই শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় শাস্তির সুপারিশ করে কমিটি। সেইসঙ্গে আরও দুই শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করে প্রশাসন।
অপর একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ড. এম এ ওয়াজেদ ভবনের পঞ্চম তলায় ৫৪৩ নম্বর রুমে ২৩ ব্যাচের সংঘটিত র্যাগিংয়ের ঘটনার বিশদভাবে পর্যালোচনা পূর্বক অভিযোগ সর্বসম্মতিক্রমে প্রমাণিত হওয়ায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ এর ০৬ ধারা অনুযায়ী মূল কমিটি শাস্তির সুপারিশ করে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ এর ০৬ ধারা অনুযায়ী মূল কমিটি শাস্তির সুপারিশ করায় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশিদ জানান, হাবিপ্রবিতে র্যাগিং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই অপসংস্কৃতির সঙ্গে যারা যুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৩
আরএ