ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২৫৯টি ভবন উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসব ভবন একযোগে উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এসব ভবনের ১১ হাজারব২৩১টি শ্রেণিকক্ষে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর আধুনিক ও উন্নত পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নখাতে বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে গত পনেরো বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজন গুণগত মানসম্পন্ন ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা সুনিশ্চিতের প্রয়াসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশব্যাপী অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ করে চলেছে। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে বিগত ১৫ বছরে বর্তমান সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৪১টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ১৫ হাজার ৩৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮৮ হাজার ৪৭৫টি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। ফলে, ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর আধুনিক ও উন্নত পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং এতে গুণগত শিক্ষার প্রসার ঘটছে।
এছাড়াও, বিগত ১৫ বছরে ১৩ হাজার ৪২টি প্রতিষ্ঠানে (সরকারিবেসরকারি) মোট ২ হাজার ৭৫৮ কোটি তাকার মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বর্তমানে ৩৬টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ সব প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে আরও ১০ হাজার ৯৬৮টি শ্রেণিকক্ষে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ জন শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে।
নির্মিত ভবনগুলোতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক টয়লেট, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য র্যাম্প ও পৃথক টয়লেট রয়েছে। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির বৈচিত্র্য বিবেচনায় ভবনগুলো পরিবেশ উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, বজ্রপাত নিরোধকের ব্যবস্থাও রয়েছে। দেশব্যাপী নির্মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের সুবিধা থাকায় শহর ও গ্রামের শিক্ষার পরিবেশে বৈষম্য দূর হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআইএস