ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির গেস্টরুমে ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ, ঢামেকে ভর্তি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
ঢাবির গেস্টরুমে ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ, ঢামেকে ভর্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): বিজয় একাত্তর হলে গেস্টরুমে অকথ্য গালিগালাজ ও মানসিক নির্যাতনের কারণে এক শিক্ষার্থীর অচেতন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গেস্টরুম নিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী কর্মীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আহসান হাবিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নড়াইলে।

গেস্টরুমে উপস্থিত থাকা একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সকাল থেকে হাবিব কিছুটা অসুস্থ ছিল। গেস্টরুমে ছুটি চাওয়ার পরও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। গত কয়েকটি প্রোগ্রামে সে অংশ নেয়নি। ফলে তাকে বেশি গালিগালাজ করা হয়। এ সময় অচেতন হয়ে পড়লে তাকে গণরুমে নিয়ে আসা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গেস্টরুমে ২০২১-২২ সেশনের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ হাবিব, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে নাভীদ অনন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নাজমুল হাসান নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী বিজয় একাত্তর হলের পদপ্রত্যাশী রাব্বি আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, গেস্টরুমে এ রকম একটি ঘটনার কথা শুনেছি। ছেলেটি সকাল থেকে কিছু খায়নি। ফলে এক সময় অচেতন হয়ে পড়ে যায়। পরে সবাই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।

প্রোগ্রাম না করার কারণে নির্যাতন ও ছুটি না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কয়েকদিন থেকে তেমন প্রোগ্রাম হয় না। আমরা গেস্টরুম করাই যাতে সবার মধ্যে পরিচিতি ও ঐক্য তৈরি হয়। সেখানে কারও পরীক্ষা থাকলে, অসুস্থ হলে বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে ছুটি দেওয়া হয়। তবে এই শিক্ষার্থী ছুটি চাওয়ার পরও দেওয়া হয়নি-এ রকম ঘটনা শুনিনি। এ রকম করে থাকলে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ফজলে নাভীদ অনন ও হাবিবুল্লাহ হাবিবের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়া এ জোনের দ্বিতীয় বর্ষের অন্য কোনো শিক্ষার্থী এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে আমি খবর নিয়ে জেনেছি, গণরুমে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া সময় সে অচেতন হয়ে পড়ে। আমার স্বাস্থ্যসেবককে ঢাকা মেডিকেলে পাঠাচ্ছি। আগামীকাল এ বিষয়ে পূর্ণ খোঁজ করে ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।