ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবিতে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
ঢাবিতে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

দাবির পক্ষে প্রতিবাদ র‌্যালি বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা; দ্রুত সময়ে এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; হিজরা জনগোষ্ঠীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া এবং ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ধারীদের কোটা ব্যবস্থায় আনার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে প্রমোট করে আইন এবং সংবিধান বিরোধী কাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাওয়া। তবে তারা জানিয়েছে, আলোচনার ভিত্তিতে এ দাবিগুলো পরিবর্তন করা হতে পারে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কোটার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। অথচ ট্রান্সজেন্ডারকৃত শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয়। তারা সেচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তন করেছে। ফলে তাদের জন্য কোটা প্রযোজ্য নয়।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। কিন্তু হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি থাকা সহমর্মিতার সুযোগ নিয়ে বিকৃত মস্তিষ্কের ট্রান্সদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সমাজে পিছিয়ে পড়া জাতি কোটা দাবি করতে পারে। কিন্তু কী যুক্তিতে কোনো ধরনের শারীরিক সীমাবদ্ধতা না থেকেও ট্রান্সজেন্ডারকৃতরা কোটার সুবিধা পাবে? এদের কোটা দেওয়ার অর্থ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে এলজিবিটিকিউআইকে সমর্থন দেওয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শামসুন নাহার হলের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ট্রান্সজেন্ডাররা প্রাকৃতিকভাবে নারী অথবা পুরুষ নন। তারা মানসিকভাবে রূপান্তরিত। তাদের যদি মেয়েদের হলে থাকতে দেওয়া হয়; একজন নারী শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের অনেক অসুবিধা হবে। আমরা তার সাথে কক্ষ ও বেড শেয়ার করতে পারব না। ধর্মীয় দৃষ্টিতেও সে একজন পুরুষ হওয়ায় আমার জন্য নন-মাহরাম। তার সামনে আমরা নামাজ আদায় করতে পারব না। তাদের মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত, কোটার সুবিধা দেওয়া নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।