ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা সংশোধনের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা সংশোধনের দাবি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা-২০২৩’ সংশোধন করে বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা অনুসারে যারা স্মারক নম্বর পেয়েছিলেন তাদের ২০১১ বিধিমালা অনুসারেই নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে তারা সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান সংগঠনের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব জয়নুল আবেদীন জয় বলেন, ‘বেসরকারি প্রাথমিক (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১১’ এর আলোকে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে কয়েক হাজার স্কুলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন পেলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে সিংহভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই স্মারক নম্বর পাওয়ার পরও নিবন্ধনের আওতার বাইরে থেকে যায়।

তিনি বলেন, বারংবার চেষ্টা করেও আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধন নিতে পারেনি। এ ব্যর্থতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। এখনও অধিদপ্তরে হাজারো আবেদনের ফাইল পড়ে আছে। অধিদপ্তর ফাইল ছাড়ছে না, অথচ দোষ চাপানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর।

সংগঠনের মহাসচিব আরও বলেন, পিইসিই পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের ফলাফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক ভালো এবং দেশে-বিদেশে প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের যে সাফল্য ও সুনাম রয়েছে তার প্রায় অর্ধেক অবদানই কিন্ডার গার্টেনগুলোর রয়েছে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা বলেন, ২০১৬ সালের আবেদন করা কয়েক হাজার ফাইল স্মারক নম্বর দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে তিনি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা ২০১১ সালের মতো আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। ফাইল নিয়ে আমলাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার অবসান ঘটিয়ে ছাড়বো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
ইএসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।