ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে জাবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

জাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৪
দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে জাবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) রাস্তায় নির্মিত দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে শহীদ রফিক জব্বার হলের সাথে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হল ও শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৯টায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।  

জানা যায়, শহীদ রফিক জব্বার হল সংলগ্ন রাস্তায় স্থায়ী দেওয়াল নির্মাণের ফলে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতে অসুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তি পোহাচ্ছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ও শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত সোমবার থেকে দেয়ালটি ভাঙার দাবিতে গণস্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি শুরু করে ওই দুই হলের শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দেওয়ালটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি অঙ্কনের চেষ্টা করে রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা। এসময় শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা দেওয়ালে বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতি অঙ্কনে বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের সাথে তাজউদ্দীন আহমদ হলের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হয়ে রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে তারা হলের ভেতরে চলে যায়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের হাতে লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেছে। এছাড়া রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, হল প্রশাসনে দায়িত্বরত শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। উভয় হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে রাত দুইটার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে প্রক্টরিয়াল টিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে পৌঁছেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের জানুয়ারি মাসে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৬টি হলের মধ্যে মেয়েদের ১টি ও ছেলেদের ১টি আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়। এসময় ছেলেদের নতুন হল (শেখ রাসেল হল) সংলগ্ন শহীদ রফিক জব্বার হলের কিছু ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কয়েকটি দাবির কথা তুলে রাতারাতি দেয়াল উঠিয়ে দেন। এতে বিপাকে পড়েন শেখ রাসেল হলের প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী।

তাদের অভিযোগ, হল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে দাবি-দাওয়া তুলে ধরার পরও দেয়াল অপসারণ বা ছোট ফটক তৈরি এর কোনোটাই সম্ভব হয়নি। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেক দূর ঘুরে ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৪
এএটি​​​​​​​​​​

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।