ঢাকা: নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ৬০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসন। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে আটজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. এ কে এম মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাস্তি পাওয়াদের মধ্যে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৭ জন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও ৭ জনের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর এসব শাস্তি কার্যকর হবে।
ড. এ কে এম মাসুদ জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ৪১টি মিটিং করে। এছাড়া ডিসিপ্লিনারি কমিটি আরও সাতটি বৈঠক করে। সেখানে অভিযোগ যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অর্ডিন্যান্স রয়েছে সেটির ধারা লঙ্ঘন করেছে। এজন্য ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও ১২ জনকে ৪ থেকে ৬ সেমিস্টার বা টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের সাজা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আরও ৬ জনকে দুই টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এই ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ এখন স্থগিত আছে। যদি তারা ভবিষ্যতে কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের বহিষ্কার তখন থেকে কার্যকর হবে। এর বাইরে সাতজনকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও ২৭ জন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের চিঠি দিয়ে তাদের সাজার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সাজাপ্রাপ্তদের পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রশাসন সাজাপ্রাপ্তদের পরিচয় সর্বস্তরে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সাজাপ্রাপ্তদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তাদের সাজার ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
এফএইচ/এমজে