জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রক্টর মোস্তফা কামালকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহির আওতায় আনাসহ নতুন ৬ দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৭ মার্চ) এক মশাল মিছিল শেষে এ দাবি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১) অবিলম্বে তদন্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।
২) অভিযুক্তদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডি, প্রক্টর মোস্তফা কামালসহ সবাইকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতার আয়ত্তে আনতে হবে।
৩) পূর্বে ঘটে যাওয়া সকল নিপীড়নের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্য নিশ্চিত করতে হবে।
৪) অতিদ্রুত সময়ে নিরপেক্ষ নিপীড়ন দমন সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতি বিভাগে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করতে হবে।
৫) বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেশালিস্ট মনোবিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে, ইন্টার্ন দিয়ে চলবে না।
৬) প্রশাসনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্য উপস্থাপিত দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আল্টিমেটাম অনুযায়ী প্রশাসন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। প্রশাসন আমাদের আরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আশা করি তাও বাস্তবায়ন হবে। অবন্তিকাকে টেকনিক্যালি হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট মুখে কালো কাপড় ও গলায় রশ্মি বেঁধে প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
এসময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা ইভান তাহসিব বলেন, অবন্তিকার মৃত্যু সুইসাইড নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। এখন ভিক্টিম ব্লেমিং চলছে। অবন্তিকা সাহসী ছিলেন। তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। প্রক্টর অফিসে দেওয়া অবন্তিকার অভিযোগপত্র কেন ভিসি পর্যন্ত যায়নি আমরা তা জানতে চাই।
এরআগে আজ দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন্দ্রীয় মসজিদে অবন্তিকার আত্মার মাগফিরাতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
এসময় দোয়া অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীসহ শিক্ষক সমিতি ও প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন>> অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর সংশ্লিষ্টতা আছে: ডিএমপি
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
এসএএইচ