ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কোটা আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ‘ফাঁদে যেন পা না দিই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৪
কোটা আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ‘ফাঁদে যেন পা না দিই’ বক্তব্য দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

তবে বর্তমানে কোটাবিরোধী যে আন্দোলন চলছে, তা ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, খুঁজে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।

রোববার (৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এসএসসি-এইচএসসি ২০২৩ ও ২০২৪ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। এসবিএসি ব্যাংকের সহযোগিতায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিআরইউ।

কোটা বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একের পর এক কর্মসূচি দিচ্ছেন, সমাধানের পথ কোথায়, এ আন্দোলন যৌক্তিক কি না, সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকেই দেশের বাইরে অপপ্রচার করেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বা সংগঠন করতে দেওয়া হয় না। এ আন্দোলন কি প্রমাণ করে না যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে, বাকস্বাধীনতা চর্চার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার কারো ওপরই কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করে না? 

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা সরকারে আছি, আইনের শাসনের প্রতি আমাদের অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং এটি যেহেতু উচ্চ আদালতে এখনো বিচারাধীন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রায় আমাদের সর্বোচ্চ আদালত থেকে না এলে, এ নিয়ে মন্তব্য করা আদালত অবমাননার শামিল হবে। যেকোনো ব্যক্তি এ বিষয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হয়তো মন্তব্য করতে পারেন, কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমি এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই, অনেক সময় জনপ্রিয় অনেক বিষয়কে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। সেই ফাঁদে যেন আমরা পা না দিই। প্রথমত এটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। আদালতের সিদ্ধান্তের পর নির্বাহী বিভাগের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্লেক্সিবিলিটি থাকে। সেটির জন্য অবশ্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন, তা সমাধান না হওয়ার আগেই হঠাৎ করে আমি রাস্তায় নেমে এলাম, রাস্তাঘাট সব ব্লক করে দিলাম, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রশ্ন থাকতে পারে, এর পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে কি না। কারণ স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করার জন্য অনেকেই অনেকভাবে অনেক জায়গায় উসকানি দেয়। আমরা দেখেছি, ৭৫ পরবর্তী সময় থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বারংবার এমন অবস্থার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, যেখানে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীরা বারবার এগিয়ে যায়। সে ধরনের কোনো প্রচেষ্টা হচ্ছে কি না, তা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর সভাপতিত্বে ও কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এসবিএসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নুরুল আজিম।

অনুষ্ঠানে এসএসসি-এইচএসসি ২০২৩ ও ২০২৪ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারা ডিআরইউর সদস্যদের সন্তান। পাশাপাশি ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের হাতেও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৪
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।