ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সরকারি সব গ্রেডের চাকরিতে যৌক্তিক পর্যায়ে সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অহর্নিশ ’১৯ ব্যাচ নামে একটি সংগঠন বিবৃতিতে এ সংহতি জানায়।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের সর্বস্তরে কোটা সংস্কারবিষয়ক যে আন্দোলন হচ্ছে, তা অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করছি এবং আদালতের প্রতি মেধার মূল্যায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে অতি দ্রুত রায় দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দিয়েছিলেন, তখন তা যৌক্তিক এবং জরুরি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় তাদের সন্তানদেরও কোটা দেওয়াও যৌক্তিক ছিল। তবে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সচ্ছল জীবন-যাপন করায় তাদের নাতি-নাতনিদের অসচ্ছল জীবন যাপন করতে হয়নি। তাই অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বিবেচনা করে মেধার স্বার্থে কোটা সংস্কার করা উচিত।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে নারীদের সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে আত্মমর্যাদাশীল নারীরা ১০ শতাংশ কোটা চান না। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় পরিবর্তনের ফলে সারা দেশ একসাথে সংযুক্ত। ফলে প্রান্তিক জেলাও কার্যত থাকছে না। ১০ শতাংশ জেলা কোটাও ভিত্তিহীন।
সংস্কারের পর উপযুক্ত কোটায় কাউকে পাওয়া না গেলে শিক্ষার্থীরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেন। একইসঙ্গে কোটায় কোনো ব্যক্তি যেন ধাপে ধাপে সুবিধা নিতে না পারেন, সে দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা জুলাই ৯, ২০২৪
আরএইচ