ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৯ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

মিছিল নিয়ে শাহবাগে শিক্ষার্থীরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
মিছিল নিয়ে শাহবাগে শিক্ষার্থীরা

ঢাকা: সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে জাতীয় সংসদে আইন পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।  

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নেন।

আধঘণ্টা অবস্থান করে আজকের মতো কর্মসূচি শেষ করবেন তারা।  

এর আগে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, ক্যাম্পাস শ্যাডো, উপাচার্যের বাসভবন চত্বর, রাজু ভাস্কর্য হয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে আসেন।  

আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা এখানে ৩০-৪০ মিনিট অবস্থান করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেব।

চাকরির নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় ১০ জুলাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ডাকে তারা। তবে সেদিনই সকালে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) দেন আপিল বিভাগ। ফলে আপাতত কোটা বাতিল করে দেওয়া পরিপত্র বহাল থাকবে।

আন্দোলনকারীরা এ আদেশে হতাশা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আদালতের ‘ঝুলন্ত রায়’ তারা মানেন না। তারা স্থায়ী সমাধান চান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এরপর বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ হয়। এতে আদালত বলেছেন, সব কোটা বজায় রেখে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজন মনে করলে সরকার কোটার হার পরিবর্তন বা বাড়াতে-কমাতে পারে। যেকোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করায় বিবাদীদের স্বাধীনতা রয়েছে।

আদালতের এ আদেশ সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, নির্বাহী বিভাগ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট ও স্থায়ী সমাধান দিতে হবে।

যদিও আন্দোলনের নামে যেকোনো ধরনের অরাজকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।