রাজশাহী: রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাদের এরই মধ্যে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ দুই কর্মকর্তা হলেন—রাজশাহী বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহিদুর রহিম এবং সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল করিম।
এরমধ্যে দুর্নীতি, অনিয়ম ও নারীঘটিতসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে জাহিদুর রহিমের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এর সূত্র ধরেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ঘটনার পর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, জাহিদুর রহিম ও তার ভাই আমিনুল করিম রাজনৈতিক দলের একজন নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজনকে নিয়ে বোর্ডে যান। সবার সামনে তিনি অভিযোগ তোলেন, বোর্ড চেয়ারম্যান ও সচিব দুর্নীতি করেছেন। আর এর প্রতিবাদ করায় অন্যায়ভাবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে পরে বোর্ড চেয়ারম্যান কাগজপত্র বের করে দেখান, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সঠিক নয়। বরং, জাহিদুর রহমানই অপরাধী। তার প্রমাণও মিলেছে। এরপরও বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। তখন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর পর পর সেনাবাহিনীর একটি দলও সেখানে আসে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বহিরাগতরা চলে যান।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অলীউল আলম সাংবাদিকদের জানান, তাদের দুজনকে (সচিব এবং তাকে) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। একই সাথে বহিরাগতদের নিয়ে এসে সরকারি কাজেও বাধা দেওয়া এবং বোর্ডে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, জাহিদুর রহিম ও তার ভাই আমিনুল করিম এজন্য দায়ী। তাই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া দুই ভাইসহ ৩০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করারও প্রস্তুতি চলছে।
রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিক্ষা বোর্ডে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই থানা থেকে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কী নিয়ে ঘটনা সেটা তিনি এখনও পুরোপুরি জানেন না। রাতে তারা মামলা দিলে বিষয়টি বলতে পারবেন। আর মামলা হলে তা তদন্ত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান, এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এসএস/এমজেএফ