ব্যাটল অব মাইন্ডসের ২১তম সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) দল ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’। তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করা এবং আগামীর ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিজনেস কেস নিয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত দল ‘সিডসিঙ্ক’ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সমন্বয়ে গঠিত দল ‘নিউরনস’।
প্রতিযোগিতায় দেশের ৭০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭০০ এর বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। ফাইনালে পাঁচটি দল প্রতিযোগিতা করে। অন্য দলগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ‘টিম কুকিজ’ ও ‘টিম শার্ক’। এ বছর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের দুটি চ্যালেঞ্জ থেকে একটি বেছে নিতে বলা হয়– ‘প্রোডাক্ট’ অথবা ‘এআই রেভ্যুলেশন’। উল্লেখ করে দেওয়া হয়, তাদের উপস্থাপিত ধারণাকে সংশ্লিষ্ট খাতের কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। বক্তব্যে তিনি তরুণদের ক্ষমতায়নের রূপান্তরমূলক শক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে তাদের অমিত সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়াও তিনি তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান এবং তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও নেতৃত্বকে উদ্বুদ্ধ করতে ভূমিকা রাখার জন্য ‘ব্যাটল অব মাইন্ডস’-এর প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনীষা আব্রাহাম। বাংলাদেশ থেকে চ্যাম্পিয়ন দলটি বৈশ্বিক পর্বে ২৫টি দেশের বিজয়ী দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। বৈশ্বিক পর্বের বিজয়ীরা তাদের উপস্থাপিত ধারণা বাস্তবায়নের জন্য ‘সিড ফান্ড’ হিসেবে ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাটল অব মাইন্ডস প্রতিযোগিতা ২০০৪ সাল থেকে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ প্রতিযোগিতা তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা, অগ্রণী প্রযুক্তি ও দূরদর্শী সমাধানের মাধ্যমে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসার সুযোগ করে দিচ্ছে। ধারাবাহিকভাবেই ব্যাটল অব মাইন্ডসের অ্যালামনাইরা তাদের কাজের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বদায়ক ভূমিকা পালন করছেন। ব্যাটল অব মাইন্ডসের প্রায় দুই হাজার সদস্যের একটি সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ নেটওয়ার্কের সদস্যরা বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।