ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ববি কোষাধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
ববি কোষাধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নবনিযুক্ত ট্রেজারার আবু হেনা মোস্তফা কামালকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একাংশ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৭ শিক্ষকের সইযুক্ত প্রতিবাদলিপি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষকেরা অতিদ্রুত আবু হেনা মোস্তফা কামালকে অপসারণ করে কোষাধ্যক্ষ পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষাবিদকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিবেন বলে জানান।  

সোমবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুর একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয় বলে মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দীন জানান।

তিনি জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে কর্নেল (অব.) আবু হেনা মোস্তফা কামালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওই পদে তিনি মন্ত্রণালয়ে যোগদানও করেছেন। এ পদে তিনি যোগদানের পর থেকেই শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এরই ধারবাহিকতায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  

এ সহযোগী অধ্যাপক বলেন, নতুন কোষাধ্যক্ষকে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে ১২৭ জন শিক্ষকের সইযুক্ত প্রতিবাদলিপি চিঠি আকারে শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, ইউজিসি, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার মানববন্ধন করা হবে। সেখানে পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

গত ২৬ নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান কর্নেল (অব.)  আবু হেনা মোস্তফা কামাল খান। ওইদিন রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি। তার আগেই যোগদানে বা ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করার জন্য ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।  

পরে উপাচার্যের কার্যালয়ে আসেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া ট্রেজারার। শিক্ষার্থীরা উপাচার্য কক্ষে ঢুকে ট্রেজারারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে তাকে যোগদানে বাধা দেন এবং ক্যাম্পাস থেকে তাকে চলে যেতে বলেন।

এমনকি শিক্ষার্থীরা তাকে (কোষাধ্যক্ষ) স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে বেরোবিতে রেজিস্ট্রার থাকাকালীন দুর্নীতিগ্রস্ত ও কলিমউল্লাহর (অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ) সহযোগী হিসেবে কাজ করেন বলে অভিযোগ তোলেন সামনেই।

এ সময় সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৪
এমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।