ঢাকা, সোমবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

উত্তরা ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
উত্তরা ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

ঢাকা: উত্তরা ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে তার প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়) প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী।  

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। নবম সমাবর্তনে বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী। সমাবর্তনে উপস্থিত সব অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার কাজী মহিউদ্দিন।  

শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সফট স্কিল, মূল্যবোধ ও ভাষা অর্জনের তাগিদ দিয়ে ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে উত্তরা ইউনিভার্সিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে দক্ষ ও যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করবে।  

নতুন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা শুধু ব্যক্তি বা পরিবারের সমৃদ্ধির জন্য নয়, বরং দেশ-জাতি তথা সমাজের উন্নয়নেও কাজ করতে হবে আপনাদের।  

পরিবার ও শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্জিত জ্ঞান, মেধা ও মনন দেশমাতৃকার কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন, প্রচুর অধ্যবসায়, পরিশ্রম ও কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা আসবেই।  

সমাবর্তনে ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা বলেন, আপনারা আগামী দিনের এ বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাই সততা, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে একটি আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৩ হাজার ৪৯৭ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য দুজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও ৩৫ জনকে শিক্ষার্থীকে ট্রাস্টি, ভিসি ও ডিন পদক দেওয়া হয়।  

সমাবর্তনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান, বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় পপ সংগীত ব্যান্ড ‘ওয়ারফেজ’-এর মনোজ্ঞ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সমাবর্তনের সমাপ্তি ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।