ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি- ৭ কলেজ সংঘর্ষে আহত রাকিবের ৫ দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
ঢাবি- ৭ কলেজ সংঘর্ষে আহত রাকিবের ৫ দাবি বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢামেকে চিকিৎসাধীন রাকিব ৫ দাবি তুলে ধরছেন

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আহত রাকিব ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন।  

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুরাতন ভবনে তৃতীয় তলায় কেবিনে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আহত রাকিবসহ তার সহকর্মীরা সাংবাদিকের কাছে এসব দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো -

১.আইনশৃঙ্খলা অবনতি করে পরিকল্পিতভাবে হামলার দায় সংশ্লিষ্ট সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্পটে হামলার নেতৃত্ব দেওয়া সকলকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।

২. যেহেতু প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদের অসদাচরণের কারণে এই মব সৃষ্টি হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীরা আহত হয় তাই প্রো-ভিসি মামুনকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।

৩. পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে যে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আওয়ামী প্রেতাত্মারা হামলার পরিকল্পনা করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার করতে হবে।

৪. যে সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো প্রকার সমস্যা যেন না হয় সেদিকে ইউজিসি এবং সরকারের দৃষ্টি রাখতে হবে।

৫. অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো গত রূপরেখা সরকারকে বন্দোবস্ত করতে হবে।

এর আগে, গত ২৬ জুলাই (রোববার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শুরুতে ঢাবির শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের নিউমার্কেট এলাকার দিকে ধাওয়া দেন। পরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। একপর্যায়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবির শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের দিকে ধাওয়া দেন। খবর পেয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

ঢাবি-সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ থামাতে সাউন্ড গ্রেনেড ও নিক্ষেপ করে পুলিশ। নীলক্ষেতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। রাতভর সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  

পরদিন সোমবার ঘোষিত এক আল্টিমেটামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এ জন্য তারা ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেঁধে দেন। দাবি পূরণ না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সাত কলেজের সামনে দিয়ে চলতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার  বিকেলে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪৫
এজেডএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।