ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

শিক্ষা

নিয়োগ চেয়ে ফের শাহবাগে শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা, পুলিশের লাঠিচার্জ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
নিয়োগ চেয়ে ফের শাহবাগে শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা, পুলিশের লাঠিচার্জ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে ফের রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা। তবে তাদের লাঠিচার্জ ও জলকামানের পানি ছিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষিপ্ত অবস্থায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। এতে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সোয়া ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের লাঠিচার্জ ও জলকামানের পানি ছিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় আন্দোলনকারীদের ধাওয়াও দিতে দেখা যায়।

আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। বিকেল ৪টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা। গত সোমবারও তারা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। সেদিনও তারা লাঠিচার্জ ও জলকামানের মুখে পড়েন।

২০২৩ সালের ১৪ জুন ৩য় ধাপে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালে ২৯ মার্চ। ফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল এবং ১২ জুন ভাইভা সম্পন্ন হয়।  

পরে আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। এতে ছয় হাজার ৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। পরে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।

গত ১৪ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায়ের সঙ্গে সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতিনিধিদল দেখা করলে তিনি তখন তাদের আশ্বাস দেন, সুপারিশপ্রাপ্ত ছয় হাজার ৫৩১ জন শিক্ষকের মধ্যে সবার নিয়োগ চূড়ান্ত হবে, কেউ বাদ যাবেন না।  

পরে চেম্বার জজ আদালত, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টে সাতটি শুনানির পর চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ফল বাতিলের রায় দেন আদালত। এরপর থেকে আন্দোলনে নামেন সুপারিশপ্রাপ্তরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।