ঢাকা, শনিবার, ২ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫ শাবান ১৪৪৬

শিক্ষা

বসন্তের নানা আয়োজনে রঙিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
বসন্তের নানা আয়োজনে রঙিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা: প্রকৃতির মাঝে বেজে উঠল বসন্তের সুর। বসন্তকে বরণ করে নিতে রাজধানীতে রয়েছে নানা আয়োজন।

এর অংশ হিসেবেই ভোরের আলো ফুটতেই সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা ভিড় জমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বসন্তকে বরণ করে নিতে ভোর ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। বসন্ত উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ শেষ হয় দুপুর ১২টায়। সমবেত বাদ্যযন্ত্রের মধ্য দিয়ে উৎসবটি শুরু হয়।

পরে দেশের অগ্রগণ্য নৃত্য ও সঙ্গীতের দল, বরেণ্য শিল্পীদের একক গান, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনার সঙ্গে বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময়সহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

বসন্ত-রঙিন শাড়ি, খোঁপায় ফুল জড়িয়ে চারুকলায় আসেন তরুণীরা। তরুণেরা জড়ান পাঞ্জাবি।

বসন্তকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অনুষ্ঠিত হয় বসন্তবন্দনা উৎসব। ‘পৃথিবীর নদ, বন  কিংবা পাহাড়, মানুষ মালিক নয়, বন্ধু তাহার’ এই আহ্বানে এবারের আয়োজনটি হয়েছে। বটতলায় গান, দলীয় নাচ, কবিতার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় ঋতুরাজ বসন্তকে।

চারুকলার বকুলতলায় আসা শিল্পী সমর বড়ুয়া বলেন, দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত বসন্ত উৎসব। এ দেশের অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি আর ঋতু বৈচিত্র্যকে ধারণ করে এ উৎসব। বাঙালি জাতির জীবনে যেকোনো উৎসবের চেয়ে এ উৎসবের তাৎপর্য কোনো অংশে কম নয়।

অংশ নেন শিল্পী শ্যামলী বড়ুয়াও। তিনি বলেন, বসন্ত উৎসব একটি মিলনমেলা। ধর্ম-বর্ণ-মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে বসন্ত উৎসবের আনন্দ। জীবনের অনেকটা সময় ধরে আমরা নানা ঝামেলা নিয়ে থাকি। সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে বসন্তের এই রঙিন মেলায় একত্রিত হই। এই রং আমাদের মনকে ভালো করে দেয়। এই যে এতগুলো মানুষের চোখেমুখে আনন্দ, এই আনন্দ জীবনের সব ক্লান্তি দূর করে দেয়।

বটতলায় বসন্তবন্দনায় সমগীত শ্রদ্ধার্ঘ্য নেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সমগীতের এই আয়োজনে গান পরিবেশন করেন শিল্পী কফিল আহমেদ, লীলা, কৃষ্ণকলি, সায়ান,  আদিবাসী ব্যান্ড রেরে, সুডোস অন আ রং রুট, অমৌলিক ও গঙ্গাফড়িং। এ ছাড়া নৃত্য পরিবেশন করেন আকরামুল হিজড়া ও সাচিং মং মারমা।

আয়োজন নিয়ে সমগীতের সভাপতি কমল আকাশ বলেন, দেশের সব সংস্কৃতির মিলনমেলা ঘটে আমাদের এই আয়োজনে। এ উৎসব আমাদের প্রকৃতির প্রাণ উপলব্ধি করতে শেখায়। আজকাল আমরা বৈচিত্র্যময় ছয় ঋতুকে অনুভব করতে ভুলে যাই। সবচেয়ে রঙিন ঋতু বসন্তকে উপলব্ধির মাধ্যমে আমাদের সেই সংকট কাটাতে চাই। প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হওয়ার এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করার প্রতি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
এফএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।