ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সেই কওমি প্রতিষ্ঠান বন্ধ, মেয়েদের মাদরাসায় সিসি ক্যামেরা নিষিদ্ধ

সরোয়ার হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
সেই কওমি প্রতিষ্ঠান বন্ধ, মেয়েদের মাদরাসায় সিসি ক্যামেরা নিষিদ্ধ শুক্রবার শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতাদের উপস্থিতিতে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়

যশোর: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে অবস্থিত মেয়েদের সেই কওমি মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শনিবারের (১২ এপ্রিল) মধ্যে ছাত্রীদের নিজেদের পরিবারে ফিরে যেতে হবে।

মাদরাসাটির ভবিষ্যৎ কী হবে তা বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।

একইসঙ্গে এখন থেকে দেশে মেয়েদের আর কোনো কওমি মাদরাসায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন বোর্ডের নেতারা।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতাদের উপস্থিতিতে এক ম্যারাথন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে মাদরাসাটির পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে লিখিত দিয়েছেন।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাক্তার কাজী নাজিব আসান বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও জানিয়েছেন, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তার দপ্তরে ওই সভা শুরু হয়। সভায় যশোর থেকে প্রায় ৩০ জন মাওলানা অংশ নেন। তারা কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সদস্য। উল্লেখিতদের মধ্যে ছিলেন কওমি বোর্ডের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল কমির যশোরী এবং মাওলানা নাসিরুদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) আল নাহিয়ান।

ডাক্তার কাজী নাজিব হাসান আরও জানান, সভার শুরুতে কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতারা বলেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে খুবই বিব্রত। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে আর ভবিষ্যতে না ঘটে সে ব্যাপারে বোর্ডের পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে পাঁচতলা বিশিষ্ট ওই কওমি মাদরাসায় মেয়েদের শয়নকক্ষে দুটি সিসি ক্যামেরা ছিল। এতে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। বিষয়টি মেয়েদের কাছ থেকে জানার পর একজন অভিভাবক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন।

যার প্রেক্ষিতে নারী পুলিশ সদস্যরা গত বুধবার (০৯ এপ্রিল) ওই দুটি ক্যামেরাসহ মাদরাসাটি থেকে মোট ১৬টি ক্যামেরা জব্দ করেন। জব্দ করা হয় ক্যামেরার মনিটরও।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল নাহিয়ান বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন জব্দ ক্যামেরার এক মাসের ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর তা ব্যাপক আলোচনায় আসে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।