ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে তারা এ অনশনে বসেন।

আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তারসহ শিক্ষকরা।

এক দফা দাবি পূরণে শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সোমবার বিকেল ৩টায় শেষ হয়।

এর আগে রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈকত এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইইএম) বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।

অপরদিকে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কুয়েটে চলমান সংকট আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার, সহকারী ছাত্র কল্যাণ পরিচালক রাজু আহমেদ ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র কল্যাণ পরিচালকরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আলোচনার টেবিলে বসুন, আলোচনা করুন, আশা করি, সমস্যার সমাধান হবে। এতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে।

আলোচনার প্রস্তাব নিলেও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে থেকে সরে না এসে অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে এবং আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। গত দুইদিন ধরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন। শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নিজেরাই একের পর এক হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রোববার (১৩ এপ্রিল) বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।