ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ‘ফিরে আসা জুলাই’ শীর্ষক দিনব্যাপী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে।
রোববার (২০ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের মাল্টিপারপাস হলে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং গ্রিন বিজনেস স্কুল ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তারেক আজিজ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, এনজিপি, পিএসসি (অব.), প্রোক্টর ড. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, “দুর্নীতিতে পর্যুদস্ত বাংলাদেশ যেন আর পেছনে ফিরে না যায়। আমরা চাই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠুক, যা হবে বিশ্বদরবারে অনন্য এক দৃষ্টান্ত। আমাদের শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে তারা আগামী দিনের দেশ নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। ”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, “জুলাই আমাদের শেখায় ভিন্নমত গ্রহণের সহনশীলতা। এই আন্দোলন আমাদের আরও বেশি দায়িত্ববান ও সচেতন নাগরিক হতে শিখিয়েছে। ”
গ্রিন বিজনেস স্কুল ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তারেক আজিজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবদানকে জাতির ইতিহাসে অবশ্যই বিশেষভাবে স্থান দিতে হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যদি হয় আন্দোলনের মাথা, তাহলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তার মেরুদণ্ড। ”
অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলন’-এর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র। আন্দোলনে আহত ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিচারণ তুলে ধরেন। তাঁদের হৃদয়স্পর্শী বর্ণনায় আন্দোলনের পটভূমি, সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বক্তব্য চলাকালে ‘জুলাই আন্দোলনের’ স্মরণে উপস্থিত অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, অনুষ্ঠানে সৃষ্টি হয় এক বিশেষ আবেগঘন পরিবেশ।
শহীদ ও আহতদের স্মরণে পরিচালিত হয় বিশেষ দোয়া মাহফিল, যেখানে তাঁদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আয়োজনটি গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এ আয়োজন শিক্ষার্থীদের ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি, যোগ্য নাগরিক ও নৈতিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করবে এবং একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে তাদের প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে।
এমজেএফ