খুলনা: আনন্দমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ এমেরিটাস অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম।
সমাবর্তনে উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, “দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া আমাদের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। অন্যদিকে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে জাতিকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়া আবশ্যক। এ জন্য সম্ভাবনাময় খাত তথ্যপ্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। ”
এবারের সমাবর্তনে ২ হাজার ৫৫৫ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৪১ জনকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ৬৯ জনকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ৩৯ জনকে এমফিল ও ৬ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি সনদ প্রদান করা হয়।
একইসঙ্গে স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে ২৬জন কৃতি গ্রাজুয়েটকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কুয়েটসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ডিগ্রিধারী গ্রাজুয়েট, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কুয়েট ১৯৬৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে অনুমোদন পায়। এরপর ১৯৭৪ সালের ৩ জুন তিনটি বিভাগ ও ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করে। এটিকে ১৯৮৬ সালে বিআইটি এবং ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়।
কুয়েটে বর্তমানে তিনটি অনুষদের অধীনে ১৫টি বিভাগ রয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলজি নামে একটি ইনস্টিটিউট রয়েছে।
বর্তমানে কুয়েটের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৬০জন। এরমধ্যে ২ হাজার ৮৪০ জন স্নাতক এবং ৬২ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ে।
এখানে ১১টি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর, ৯টি বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ইতিমধ্যে কুয়েট থেকে সর্বমোট ৬ হাজার ৫৪০ জন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ৮৮ জন এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ৪৩ জন এমফিল এবং ৭ জন পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১২
মাহবুবুর রহমান মুন্না/ সম্পাদনা: কাজল কেয়া, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর;[email protected]