জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তির সময় বিভাগ উন্নয়ন তহবিল ফি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
সোমবার দুপুর ১২টায় তারা উপাচার্য বরাবর একটি আবেদনের মাধ্যমে এ দাবি জানান।
আবেদনপত্রে বলা হয়, প্রগতিশীল ছাত্রজোট দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ এবং শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নানাভাবে শিক্ষা অধিকার সংকোচনের প্রক্রিয়া চলছে। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় গত বছর বিভিন্ন বিভাগে ‘বিভাগ উন্নয়ন তহবিল’ বাবদ দুই হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অবৈধ ফি আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছিল।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার জন্য শিক্ষার দ্বার অবারিত রাখতে এবং শিক্ষার সকল স্তরে বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণেই প্রগতিশীল ছাত্রজোট আন্দোলন করে। আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রশাসন দুই হাজার টাকা ফি কমাতে এবং আদায়কৃত অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
সব নাগরিকের শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত। এ দায়িত্ব অস্বীকার করে কোনো রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক চরিত্র ধরে রাখতে পারে না। এটা সর্বজন স্বীকৃত যে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অর্থসংস্থান করবে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ উন্নয়ন বা স্থাপনা উন্নয়নের জন্য সরকারের নিকট থেকে অর্থ আদায় না করে ছাত্র-অভিভাবকের কাছ থেকে নেওয়া অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে না- এমন যুক্তি দেখিয়ে বিভাগগুলো ছাত্র-অভিভাবকের নিকট থেকে বিভাগ উন্নয়ন তহবিল নামে বাড়তি অর্থ আদায় করছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বজনীন চরিত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বজনীন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সমুন্নত রাখা এবং ৭৩’র অধ্যাদেশ অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র রক্ষায় বিভাগ উন্নয়ন তহবিলের নামে অবৈধ ফি প্রত্যাহারের বিষয়ে উপাচার্যের প্রতি আহবান জানানো হয়। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে এই ফি প্রত্যাহারের দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জাবি শাখার আহবায়ক মৈত্রী বর্মন বলেন, “বিভাগ উন্নয়ন তহবিলের নামে অবৈধ ফি প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্য বরাবর আবেদন করা হয়েছে। উপাচার্য মিটিং এ থাকায় উপাচার্যের সচিব মো. আমজাদ হোসেনের কাছে আবেদনপত্রটি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১
ওয়ালিউল্লাহ/ সম্পাদনা: জয়নাল আবেদীন, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর