সিলেট: যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় আলোক মিছিল।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. নারায়ণ সাহার সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় মিনি অডিটোরিয়ামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীদের বিরত্বগাথা: অস্বীকৃত ও ভুলে যাওয়া একটি উপাখ্যান’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম।
যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার দাবি করে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাবি’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, “১৯৫২ থেকে ’৭১ সাল। এই দীর্ঘ ২০ বছর ছিল সংগ্রামের। এর মধ্যে নয় মাস ছিল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বাকি সময়টা এদেশের বুদ্ধিজীবীরা কলমযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন। কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের বিজয়ের পূর্বমুহূর্তে এদেশের রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের সহায়তায় তাদের হত্যা করে। ”
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বজনরা দীর্ঘদিন যাবত বিচারের অপেক্ষায় আছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে আমাদের শহীদদের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মূল প্রবন্ধে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করে সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম বলেন, “আমরা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের ক্ষতিপূরণ হয়তো দিতে পারবো না। তবে এদেশিয় রাজকারদের ও পাকিস্তানি দোসরদের ক্ষমা করে দিলে আমরা আজন্ম আমাদের মা বোনদের কাছে অপরাধী হয়ে থাকবো। ”
রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন সঞ্চালনায় প্রবন্ধ আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. কবির হোসেন, প্রক্টর ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সিকান্দর আলী, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা।
পরে সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রতিবাদ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে এক বিশাল আলোক মিছিল বের করা হয়। এর আগে সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১২
ইএইচ/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর