ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

আজীবন, সেমিস্টার ও সাময়িক বহিষ্কার হলেন শাবিপ্রবির ৫৪ শিক্ষার্থী 

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৩৪, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫
আজীবন, সেমিস্টার ও সাময়িক বহিষ্কার হলেন শাবিপ্রবির ৫৪ শিক্ষার্থী  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, অস্ত্র ও মাদক সম্পৃক্ততা, আন্দোলনবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততাসহ নানা ঘটনায় জড়িত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ৫৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, সেমিস্টার ও সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

এর মধ্যে ১৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার, ছয়জনকে ৪ সেমিস্টার, একজনকে ৩ সেমিস্টার, ১৩ জনকে ২ সেমিস্টার বহিষ্কার, ১৫ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

পাশাপাশি সাতজনকে সতর্ক করা এবং একজনকে সতর্ক করার পাশাপাশি হল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে সদস্যপদ বিলুপ্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।    

জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মো. সজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিমুল মিয়া, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী  ইউসুফ হোসাইন টিটু, পরিসংখ্যান বিভাগের হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান চৌধুরী আরিয়ান, বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের লোকমান হোসাইন, ছাত্রলীগ কর্মী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তারেক হাসান,  নৃবিজ্ঞান বিভাগের ইলিয়াস সানী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদ মাজ জারদি, সিয়াম খান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম সাইমুন।

অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- লোকপ্রশাসন বিভাগের মোহাম্মদ মামুন মিয়া, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিসংখ্যান বিভাগের অমিত সাহা, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তরিকুল ইসলাম লিয়ন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান চৌধুরী আরিয়ান, পরিসংখ্যান বিভাগের মো. মাহবুবুর রহমান, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের মারভিন ডালি রিকি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী শান্ত তারা আদনান।  

অন্যদিকে দুটি ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হয়েছেন ২০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ৪ সেমিস্টার বহিষ্কার হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের আকাশ তালুকদার, ছাত্রলীগের সহসভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. মাইদুল ইসলাম মুরাদ, ছাত্রলীগকর্মী বাংলা বিভাগের মো. নাফিউজ্জমান, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের দুর্জয় সরকার নিলয় ও  লোকপ্রশাসন বিভাগের মারুফ মিয়া।  

অন্যদিকে ২ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রেজাউল হক (সিজার), বাংলা বিভাগের মজিদুল হক ও সহসভাপতি মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান, মো. ইসমাইল হোসেন ও মনিরুজ্জামান মুন্না, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি শুভ্র রায় শ্যাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সজীব চন্দ্র নাথ, ইংরেজি বিভাগের তাইমুর সালেহীন তাউস, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিহাব উদ্দিন মিশু ও রাউফুন জাহান মিলেনিয়াম, অর্থনীতি বিভাগের রেদোয়ান হোসাইন এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের আসিফুল  ইসলাম।  
 
অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় সিভিল অ্যান্ড এনভায়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তানভির আহমেদকে ৩ সেমিস্টার, বাংলা বিভাগের অজয় চন্দ্র বর্মনকে এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের নিপেশ চন্দ্র গোপকে ২ বছর করে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া ১৫ই জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত ১৫ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি অর্থনীতি বিভাগের মো. মামুন শাহ, সহসভাপতি সমাজকর্ম বিভাগের আয়াজ উদ্দিন হালিম, সহসভাপতি বাংলা বিভাগের আইরিন আক্তার লিনজা, সহসভাপতি লোকপ্রশাসন বিভাগের সাইমন আক্তার, সহসভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নুর মোহাম্মদ শৈশব, যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক লোকপ্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকপ্রশাসন বিভাগের মো. ইমামুল ইসলাম হৃদয়, যুগ্ম সধারণ সম্পাদক ইংরেজি বিভাগের আজিজুল ইসলাম সিমান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শুভ সাহা এবং ছাত্রলীগ কর্মী বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ, রসায়ন বিভাগের মেহেদী  হাসান স্বাধীন, লোকপ্রশাসন বিভাগের আমিনুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ আলী মঈন, সমাজকর্ম বিভাগের এম এন রাখায়েত হোসেন নাবিল।

এছাড়া হলে অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় লোকপ্রশাসন বিভাগের নাদিমুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের মো. রমজান আলী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. শিপন মিয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মো. এহসান ফেরদৌস মাহিন, পরিসংখ্যান বিভাগের মো. নাদিম হোসাইন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সাকিব সৌরভ, গণিত বিভাগের জিহাদুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফারদিন কবির জিমকে সতর্ক করা হয়েছে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ