রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোটারদের ভোট প্রদানে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ।
ভোটে কারচুপির শঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোট কারচুপি রোধে আমরা শুধু অমোছনীয় কালির ওপর নির্ভর করছি না। আমরা একটি থ্রি-ডি লেভেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ডের সত্যতা যাচাই করবো। শুধু আইডিকার্ড হলেই হবে না, শিক্ষার্থীদের ভোটার আইডির জন্য একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হয়েছে, সেটি যাচাই করবো। তারপর তার ছবিযুক্ত ভোটার আইডির ছবির সঙ্গে মিলিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত হবো। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার বিষয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ হলে আমাদের এটি বিশেষ গোপনীয় কিউআর কোড আছে। সেটি যাচাই করবো। এটিকে আমরা নাম দিয়েছি থ্রি-ডাইমেনশনাল সিকিউরিটি। এটিকে অগ্রাহ্য করে কোনো অবস্থাতেই ভোট জালিয়াতির কোনো সুযোগ আমরা রাখিনি। তারপরও আমরা উন্নত মানের অমোছনীয় কালি ব্যবহার করবো। যেটি সহজে উঠবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ওএমআর মেশিনে রিড করে যথা সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করবো। কোনোভাবেই ভুল বা অগ্রহণযোগ্য কোনো ফলাফল আমরা প্রকাশ করবো না। ভোটগ্রহণ শেষে আমরা ব্যালটবাক্সগুলো বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্য দিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নিয়ে আসবো। সেখানে আমরা ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণা করবো। আমরা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় নেবো না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রাকসু নির্বাচনে ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আমরা শতভাগ ভোটারের উপস্থিতি চাই। বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। সেজন্য আমরা ১৭টি হলের জন্য ১৭টি ভোটকেন্দ্র তৈরি করেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে। আমরা বিকেল ৫টা থেকে ভোট গণনা শুরু করবো। আশা করি ১৭টি কেন্দ্রের ফলাফল সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করবো। যদি কোনো কারিগরি ত্রুটি না দেখা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি ধাপে ফুলপ্রুফ নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতিটি কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে। নির্বাচনের ফলাফল প্রস্তুত করার জন্য একটি অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ সদস্য নিয়ে গণনা ও ফলাফল প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসসি/এমইউএম/এএটি