ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আমাদের ছাত্ররা অলরাউন্ডার: রেসিডেনসিয়াল মডেলের অধ্যক্ষ

উর্মি মাহবুব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১২
আমাদের ছাত্ররা অলরাউন্ডার: রেসিডেনসিয়াল মডেলের অধ্যক্ষ

ঢাকা: স্বন্যামখ্যাত ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় ছিল এক অন্যরকম আবহ। সবাই যেনো খুশি খুশি।

তা আরও পূর্ণতা পেলো যখন প্রাথমিক সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলো। যতোটা আনন্দিত শিক্ষার্থীরা, ততোটাই আনন্দিত অভিভাবকরাও। ছাত্ররা যেমন একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করছিলো, তেমনি অভিভাবকরা একে অন্যকে আনন্দে জড়িয়ে ধরছিলেন।

পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল মো: মোসলেহ উদ্দিন বলছিলেন, আমাদের ছাত্ররা অলরাউন্ডার। আমরা ওদের জন্য গর্ববোধ করি।

জানা যায়, জেএসসি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানটির পাশের হার শতভাগ। এর মধ্যে জেএসসিতে মোট ৪১৬ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২শ’৭৯ জন। অন্যদিকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় মোট ৩শ’ ১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২শ’ ৯০ জন। জেএসসি পরীক্ষা -২০১২ এর ফলাফলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অবস্থান ষষ্ঠ।

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের রেটিং এ প্রতিষ্ঠানটিকে অন্তভুক্ত করা হয়নি বলে ফলাফলে কোনো অবস্থান নেই বলেও মন্তব্য করেন অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা বরাবরই ভাল ফলাফল করে। সাম্প্রতিককালে গৃহিত একাধিক কার্যক্রম, শৃংখলা আনয়ন ও নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থার কারণেই এতো ভাল ফলাফল সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল। তাছাড়া খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ সব জায়গায় আমাদের ছাত্ররাই চ্যাম্পিয়ন হয়। আগামী দিনে এরাই দেশের হাল ধরবে।

এসব মেধাবী ছাত্রদের জন্য কলেজ থেকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ। শিক্ষার্থীদের আরো উন্নত পড়ালেখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ জানুয়ারি মাস থেকে সব ক্লাসরুমকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমে রূপান্তরিত করার কথাও বলেন তিনি।

আনন্দে অনেকের চোখে জলও আসতে দেখা গিয়েছে। জেএসসি পরীক্ষা জিপিএ ৫ পাওয়া নাফিজ আবিদের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেলেকে বুকে নিয়ে বলছিলেন, বাবা আমার কষ্ট স্বার্থক। নাফিজ আবিদ বলেন, আমার মা  আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আমার পড়া লেখা ফলাফল নিয়ে আম্মু অনেক চিন্তিত ছিলেন। জিপিএ ৫ পাওয়ায় আম্মু যেহেতু খুশি, আমিও খুশি।

নাফিজের অন্য কয়েকজন বন্ধু জিপিএ ৫ না পাওয়া কিছুটা কষ্ট পেয়েছে বলেও জানায় নাফিজ।

নাফিজের মা শাহনাজ হাসান জানান, ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। আর আজ যখন ছেলে মেয়ে ভাল রেজাল্ট করছে তখন মনে হচ্ছে আমার সব ত্যাগ স্বার্থক। নাফিজের মার ইচ্ছা ছেলে বাবা ডা. শরীফ হাসানের মতোই একদিন ডাক্তার হবে। মায়ের সঙ্গে ডাক্তার হওয়ার একই ইচ্ছা পোষন করে নাফিজও।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭,২০১২
ইউএম/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।