সাভার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার সকালে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাতে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
এর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে ১৩ জনকে করা হয় দল থেকে বহিষ্কার।
বহিষ্কৃতরা হলেন- কাজী মারুফ সজীব, বিজয় কুমার দাশ, দেবব্রত প্রিয় জনি, আরিফুল হক আরিফ, খায়রুল বাশার রাজু, শুভাশীষ কুণ্ড টনি, মহিউদ্দিন আহমেদ মুহি, উজ্জ্বল কুমার দাশ, পারভেজ, চয়ন, সকাল, স্বাধীন ও পলাশ।
ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন স্বারিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই ১৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সোমবার সকালে যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি জাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত এবং ১৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও একবার বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। আর সে সময়ও কারণ ছিল অভ্যন্তরীণ কোন্দল।
এরপর গত ১৯ মে রাশেদুল ইসলাম সাফিনকে সভাপতি ও নির্ঝর আলম সাম্যকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সকালের ওই সংঘর্ষ ও গুলিতে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ছাত্র আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ ১৫ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১০