ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জড়ো হন। সেখান থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে শহীদ শিক্ষকদের কবরস্থান, জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধ এবং বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ
অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, শহীদ গিয়াসউদ্দিন আহমেদের ভাই অধ্যাপক ডা. রশিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।
উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক তার বক্তৃতায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, দেশের মূল্যবান সম্পদ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা নতুন স্বাধীনতা অর্জন করা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যেই দেশের প্রতিথযশা শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিক তথা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।
উপাচার্য আরও বলেন, সেসব মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করতে হবে।
এসময় তিনি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান।
বংলাদেশ সময়: ০৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর