বরগুনা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় আমতলী উপজেলার ফলাফল শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে স্থগিত করা হলেও আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে একটি ভুয়া ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অবর্তমানে ওই দপ্তরের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মনিরুজ্জামান রিপন ভুয়া ফলাফল ছাপিয়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে হস্তান্তর করেন।
তবে, মনিরুজ্জামান রিপন মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, তার ই-মেইল একাউন্টে ওই ফলাফল পাওয়ার পর তা ছাপিয়ে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কে তার ই-মেইল একাউন্টে এই ফলাফল পাঠিয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারেন নি।
আমতলীতে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার সংবাদ শুনে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম সিদ্দিকুর রহমান বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, বরিশালের উপ-পরিচালকের দপ্তর এবং ঢাকার মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে আমতলী উপজেলার ফলাফল প্রকাশে স্থগিতাদেশ রয়েছে। কিন্তু কীভাবে উপজেলা শিক্ষা দপ্তর থেকে এটি প্রকাশ করা হলো সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তরপত্রের গোপন কোড ফাঁসের অভিযোগে গত ২৭ ডিসেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র জব্দ করে সেগুলি বরিশালের উপ-পরিচালকের দপ্তরে পুনর্মূল্যায়নের জন্য পাঠিয়েছেন।
আমতলীর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সম্প্রতি শিক্ষা বিভাগের চাকরি ছেড়ে বর্তমানে কর বিভাগে যোগদান করেছেন) জেসমিন আকতার ও আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে এ বছরের পিএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্রের গোপন কোড নম্বর ফাঁস করার অভিযোগ এনে আমতলীতে আন্দোলন করে আসছে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এদিকে, ভুয়া ফলাফল প্রকাশ হওয়ায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর