সিলেট: সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৩ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা, পাসের হার, জিপিএ-৫ ও প্রতিষ্ঠানের পাওয়া পয়েন্টের ভিত্তিতে সেরা ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড।
সেরা ২০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় সিলেট জেলার ১১টি, মৌলভীবাজার জেলার ৬টি, হবিগঞ্জ জেলার ২টি এবং সুনামগঞ্জ জেলার একটি প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে।
এ তালিকায় এবারও প্রথমস্থান দখলে রেখেছে সিলেট ক্যাডেট কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৫২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৫২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৯১।
৮৯ দশমিক ৬০ পয়েন্ট নিয়ে ২য় স্থানে রয়েছে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ১৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২৬ জন। পাসের হার শতাভাগ।
সিলেট ব্লু-বার্ড হাই স্কুল ৮৮ দশমিক ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। এ বিদ্যালয়ের ২৯৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছেন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৩৫জন।
৮৭ দশমিক ৭২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ২৫৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৫৭জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৯৮ জন।
৮৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭১ জন।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে রয়েছে, সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৬৯জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছ ২৬৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৯৮ জন। প্রতিষ্ঠানটির প্রাপ্ত পয়েন্ট ৮৬ দশমিক ৬৬।
হবিগঞ্জ সদরের বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৭৪ জন। প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৮৫ দশমিক ৪৩।
হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২৮ জন উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪৪ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৮২ দশমিক ৪৩।
সিলেটের স্কলার্স হোমে’র ১৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১৫ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৮১ দশমিক ২৮।
সিলেট বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২৫ জন। ২৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছেন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৮ দশমিক ৮৬।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের দি-বার্ড রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৬৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১৬৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯১ জন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৮ দশমিক ৮০।
বড়লেখা উপজেলার রোকেয়া খাতুন লাইসিয়াম স্কুলের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৮ দশমিক ১১। এ স্কুল থেকে ৬৮জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪২ জন।
মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২০৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০২ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৭ দশমিক ৫৯।
জালালাবাদ ক্যানটনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের ৮৯ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৯ জন। প্রতিষ্ঠানটির প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৬ দশমিক ৮৫।
মৌলভীবাজারের আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫৬ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। এদের মধ্যে ৯৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ বিদ্যালয়ের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৫ দশমিক ১০।
সুনামগঞ্জের সরকারি এসসি গার্লস হাই স্কুল থেকে ২১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছেন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৪ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭১ দশমিক ৮৩।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাই স্কুলের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭১ দশমিক ৭২। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৩ জন। ৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছেন।
সিলেট পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছেন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭০ দশমিক ৮৮। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৮ জন।
শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছেন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৭ জন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭০ দশমিক ৪৫।
সর্বশেষ ২০তম স্থানে আছে সিলেটের শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২৬৪জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৯ জন। তাদের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭০ দশমিক ৩৮।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: তমাল আবদুল কাইয়ূম, নিউজরুম এডিটর