ঢাকা: মনিপুর স্কুলের মাঠে চলছে একের পর এক ফটো সেশন। কেউবা আবার বাবা-মাকে জড়িয়ে হাঁসছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ফলে হাস্যোজ্জল মুখে নিজের রুমে একর পর এক শিক্ষার্থীকে বুকে জড়িয়ে ধরছেন অধ্যক্ষ মোঃ ফরহাদ হোসেন। বলেন, আমার ছেলেমেয়েগুলো আমার মাথা উচু রেখেছে। এরা আমার গর্ব। ধারাবাহিক ভালো ফলের কারণ সম্পর্কে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমার ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের দায়িত্বে প্রতি সচেতন। সচেতন তাদের বাবা-মাও। আর আমাদের স্কুলের শিক্ষকরাও কঠিন পরিশ্রম করেছেন এই ভালো ফলের জন্য। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
২০১৩ পিএসি পরীক্ষায় মনিপুর স্কুলের মোট ২ হাজার ৮শ’ সাতজন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬৩২ জন। বাকি ১৭৫ জন জিপিএ ৪.৮৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
অধ্যক্ষের রুম থেকে বের হতেই মাঠে দেখা গেল মমতা ইসলাম নুপুর ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। ছেলে মাহফুজ ইসলাম শাফিন জিপিএ ৫ পেয়েছে। মা হিসেবে এর থেকে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারেনা বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে সব কৃতিত্ব মায়ের বলে জানায় শাফিন। মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, আমার আম্মুর কারণেই জিপিএ ৫ পেয়েছি। প্রথমে আম্মুর বকাবাকি করলে মন খারাপ হতো কিন্তু আজ অনেক ভালো লাগছে।
অন্যদিকে নিজের ৫ ছাত্র জিপিএ ৫ পেয়েছে ভাবতেই যেন অবাক লাগছে মুন্নী আক্তারের। তিনি মনিপুরি স্কুলের শিক্ষক নন। সাধারণ প্রাইভেট টিউটর। মনিপুরি স্কুলের ৫ ছাত্রকে তিনি প্রাইভেট পড়িয়েছেন যাদের সবাই জিপিএ ৫ পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমারতো মনে হচ্ছে আমিই জিপিএ ৫ পেয়েছি বলেই হেসে উঠেন তিনি।
অনেকেই আবার যেন ব্যস্ত মোবাইলে আত্মীয় স্বজনকে ভাল ফল জানানোর জন্য। মেয়ে রাইসার জিপিএ ৫ পাওয়ার খবর আত্মীয়দের মোবাইলে দিচ্ছেন হাসিনা পারভিন। বলেন, সব কাজ পরে। আমার মেয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে এর থেকে গর্বের আর কিছু নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন