জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ‘নির্বাচনোত্তর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে’ এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের পর দেখা যায়, একটি দল জয় লাভ করে, কিন্তু প্রতিবারই সংখ্যালঘুরা হেরে যায়। তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু হয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সাম্প্রদায়িক শক্তিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের ঘর-বাড়ি, দোকান পুড়িয়ে দিচ্ছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পরও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের পর লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তখন যদি সঠিকভাবে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা যেত তাহলে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হতো না। এ ধরনের লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন না করে, শক্তিশালী একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির বিধান করতে হবে। ‘
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের আহ্বানে যশোরে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। শুক্রবার উক্ত তহবিল যশোরে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের হস্তান্তর করা হবে।
নির্বাচন পরবর্তী সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘দ্রুত এই সাম্প্রদায়িক শক্তিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে এবং দোষীদের শাস্তির বিধান করতে হবে। ’
জবি নীলদলের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিমে সভাপতিত্বে এবং নীল দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমে সঞ্চালনায় অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম ও সাধারণ অধ্যাপক এ. কে. এম. মনিরুজ্জামান, জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ. এম. শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এস. এম. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৪ ইং
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর (অ্যাক্ট.)