ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): দেশব্যাপী সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, মানুষ হত্যা ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করে অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শেষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশে তিনি ‘নব নির্বাচিত’ সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।
সোহাগ বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র শিক্ষার্থীদের নতুন বই পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের কান্না আমাদের ব্যথিত করে।
একাত্তরে যারা দেশের বিরোধিতা করেছিল, তারা ভেবেছিল তাদের বিচার কোনোদিন বাংলার মাটিতে হবে না। কিন্তু আজ তাদেরও বিচার হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ যারা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, মানুষ পুড়িয়ে মারছে, তাদের বিচারও বাংলার মাটিতে হবে।
তিনি নাম উল্লেখ না করে কয়েকটি পত্রিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের কিছু পত্রিকা সংখ্যালঘুদের ছবি ছাপিয়ে তাদের ওপর হামলার উস্কানি দিচ্ছে। এসব পত্রিকার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই সরকারের প্রতি।
ঢাবি সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরেপেক্ষ হয়েছে। এ নির্বাচনকে যারা বানচালের চেষ্টা করেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে মানুষ হত্যা করেছে, তারা স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। তারা বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন চায় না।
সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ বলেন, খালেদা জিয়া নিজে অশিক্ষিত। তার ছেলেরাও অশিক্ষিত, যে কারণে তার নির্দেশে ভোটকেন্দ্র পোড়ানোর নামে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তাই, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।
দেশব্যাপী বিএনপি জামায়াত কর্তৃক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আয়োজিত এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরো উপস্তিত ছিলেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৪
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর