ঢাকা: নির্বাচনী সহিংসতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পোড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমার অধিকার ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।
বুধবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েক দিনে সারাদেশে ৫৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকাও পোড়ানো হয়েছে।
আক্রান্ত বিদ্যালয়গুলোর সব অবকাঠামো ও শিক্ষা উপকরণ পোড়ানো ও ধ্বংস করায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিপন্ন হতে চলেছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক গড়নে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যা ভবিষ্যত প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার শামিল।
রাজনৈতিক সহিংসতায় মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া গুরুতর অপরাধ বলে প্রতিষ্ঠানটি পক্ষ থেকে বলা হয়।
১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রেজুলেশন গ্রহণ করে যে, বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মতো স্থাপনাকে বিবদমান পক্ষকে যেকোনো পরিস্থিতিতে ‘সেফ হেভেন’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই এগুলোকে সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা যাবে না।
যারা এ ধরনের স্থাপনায় হামলা চালাবে, তাদেরও অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তাই, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে যারা সহিংস হামলা চালিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
অনতিবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিও জানায় সংস্থাটি।
একইভাবে রাজনৈতিক দল ও সমাজের সব স্তরের সচেতন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে সাধারণ জনসমাজের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকারও উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ফাউন্ডেশনটি আমার অধিকার ক্যাম্পেইন ব্যানারে শিশুদের জন্য কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৪
সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর; এনএস