ঢাকা: ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে ইডেক্সেল (Edexcell) বোর্ডের অধীনে ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষা চলাকালে (৭-২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত) লাগাতার হরতাল-অবরোধ না দিতে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি আবেদন জানিয়েছেন এ সব পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা।
শনিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষার্থীদের অভিভাবক আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ আবেদন জানান।
মানববন্ধনে ধানমন্ডির টিউটোরিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী শাফিউল ইমাম ফেরদৌসের বাবা হাসান ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, এ বছর ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। ইডেক্সেল বোর্ডের নিয়মানুযায়ী, দেশে হরতাল বা অবরোধ চলাকালে পরীক্ষা নেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, যদি সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল থাকে, তাহলে সকাল সাড়ে ১০টার পরীক্ষা সন্ধ্যা ৭টায় এবং বিকাল ৩টার পরীক্ষা রাত পৌনে ১২টায় অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু যদি ২৪ ঘণ্টা বা ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল বা অবরোধ থাকে, তাহলে অনুষ্ঠিতব্য সেই পরীক্ষা আর নেওয়া হয় না। কারণ, সারা পৃথিবী জুড়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, তাই বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি আমাদের আবেদন, তিনি যেন সাড়ে সাত হাজার পরীক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে এই পরীক্ষা চলাকালে লাগাতার হরতাল-অবরোধ না দেন।
একই স্কুলের শিক্ষার্থী তামজিদ হোসেনের মা হাসিনা মমতাজ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সন্তানরা এ বছর পরীক্ষা দিতে না পারলে তাদের পরীক্ষা আবার ছয় মাস পিছিয়ে যাবে। প্রতিবার পরীক্ষার র্ফম ফিল-আপের জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে খরচ হয়। তাই, এবার পরীক্ষা দিতে না পারলে আবার আমাদের এতগুলো টাকা খরচ করতে হবে!
তিনি জানান, আগামী সেশন থেকে নতুন সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমাদের সন্তানরা আগের সিলেবাসে পড়াশোনা করে এবার পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই, এবার তারা পরীক্ষা দিতে না পারলে আগামীবার থেকে তাদের নতুন সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে করে তারা দুই বছর পিছিয়ে যাবে।
মানববন্ধনে মোতাহার হোসেন, এম এ রশিদ, কামাল কাইফ, মশিউর রহমান সুমন, হুসাইন ফেরদৌসীসহ অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর