সিলেট: পোড়া ক্ষত নিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে যাচ্ছে সিলেটের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাস। আগের চেহারায় ফিরিয়ে দিতে আংশিক পুড়ে যাওয়া খুঁটিতেই তৈরি হয়েছে ছাত্রাবাসের কক্ষ।
কাজ শেষ হলেই ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আবার ছাত্রাবাসে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার কাজ হওয়ায় অনেকটা পুরনো আদলেই সেজেছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত দেশের ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রাবাস। ধোয়ামোছা ও রঙের কাজ চলছে। এ কাজ মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।
২০১২ সালের ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষের পর বহিরাগত ছাত্রলীগের ধরিয়ে দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাস। পোড়ার পর নতুন করে পুরোনো আদলে সংস্কারের জন্য ৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এমসি কলেজেরই সাবেক কৃতিছাত্র অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, “আগামী মার্চ মাসেই কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে পুনর্নির্মাণ করা ছাত্রাবাস তুলে দেওয়া যাবে। তবে কাজের মেয়াদ এপ্রিল পর্যন্ত রয়েছে। এখন বলা যায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ’
এমসি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ধীরেশ চন্দ্র সরকার এ ব্যাপারে বলেন, ‘প্রকৌশলীরা কাজ শেষ করলেই আবাসহারা শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসে ফিরিয়ে আনা হবে। কোনো বহিরাগত নয় ছাত্রাবাসের প্রকৃত ছাত্র ও যাদের ছাত্রাবাসে মেয়াদ রয়েছে তারাই আসন পাবে। ’
মঙ্গলবার সকালে ছাত্রাবাস ঘুরে দেখা গেছে, টিন লাগিয়ে ফেলা হয়েছে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি ছাত্রাবাসে। বাকি তিনটিরও সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৪