ঢাকা: ৪৮৭ উপজেলা নির্বাচন ৬ ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে আপত্তি নেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকেই উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করার পক্ষে মত দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দেশের সবগুলো উপজেলার ছয় ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ঠিক একইসময়ে এসএসসি পরীক্ষা থাকায় করণীয় নির্ধারণের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় নির্বাচন কমিশন।
সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে মতামত চাওয়ার জন্য আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এসএসসি পরীক্ষার দিনগুলোতে এবং এইচএসচি পরীক্ষাকে সামনে রেখে এপ্রিল মাসে ভোট না রাখার পরামর্শ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মতামতও এসেছে বলে জানান ইসির উপ-সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ।
ইসি সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে এসএসসির ধর্ম ও হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের আগের দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ধর্ম পরীক্ষা (ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্ট) নির্ধারিত ছিলো। ভোটগ্রহণের পরেরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত ছিলো হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষা।
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সূচি পরিবর্তন করে ১৮ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা ১৮ মার্চ ও ২০ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা ২০ মার্চ নির্ধাণ করা হয়েছে।
ইসি সূত্র আরও জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী ছয় দফা ভোটগ্রহণের নির্ধারিত তারিখগুলোই বহাল রেখেছে ইসি।
ইতোমধ্যে, প্রথম ধাপে ১০২টি উপজেলার ভোটগ্রহণ ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি।
ইসির নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে, দ্বিতীয় ধাপে ১১৭টি উপজেলার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় ধাপে ৭৪টি উপজেলার ১৫ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৭২টি উপজেলায় ২৫ মার্চ, পঞ্চম ধাপে ৬৫ উপজেলার ৩১ মার্চ এবং ষষ্ঠ ধাপে ৫৭টি উপজেলার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে ৩ মে।
৪৮৭ উপজেলার বাকিগুলো নবগঠিত, আদালতের জটিলতা ও মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়ায় এ বছর ভোটগ্রহণ হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৪