খুলনা: সোমবার রাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই ছাত্র ও এক শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলামসহ ৫ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টায় ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের প্রত্যাহার করে।
এর ফলে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্র জানায়, দুপুর ২টার পর ভিসির কার্যালয়ে সমস্যা নিরসনের জন্য দীর্ঘক্ষণ পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে গল্লামারীতে কয়েকজন ছাত্রকে তল্লাশির নামে তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও তাদের মারপিট করা এবং একজন শিক্ষক তথা সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালককে তার পরিচয় প্রদান ও পরিচয়পত্র প্রদর্শনের পরও তাকে লাঠিপেটা করে আহত করার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এসিসহ ৫ জনকে প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে ব্যস্ততম এ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরাও ক্যাম্পাসের সামনে পুলিশের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস ও মিলনকে সোমবার রাতে গল্লামারী পুলিশ বক্সের কর্তব্যরত সদস্যরা তল্লাশি করেন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উচ্ছ্বাস ও মিলনকে লাঞ্ছিত করে পুলিশ। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক সৈকত, পুলিশের একজন কর্মকর্তাসহ ২ জন ছাত্র আহত হন। পুলিশ মারধর করে ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৪